অডিট রিপোর্টের পরিবর্তন কারসাজি বন্ধে ভূমিকা রাখবে

অডিট রিপোর্ট নিয়ে অনেকদিন যাবত আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে এ নিয়ে বিভিন্ন কথা হচ্ছে। ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং এক্ট হলো, এখানে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা এ নিয়ে চিন্তা করছেন কিভাবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।

কোন অডিট রিপোর্টে যদি অসঙ্গতি থাকে, যেটাকে আমরা কোয়ালিফাইড অডিট রিপোর্ট বলে থাকি, সেটার মতামত সবার পরে দেওয়া হত। অনেক সময় নিচে দেওয়ার ফলে অনেকের চোখেও পড়তো না।

এখন যেটা বলা হয়েছে, কোয়ালিফাইড অডিট রিপোর্ট সবার আগে দিতে হবে । ফলে সেখানে কোন অসঙ্গতি থাকলে প্রথমেই সবার চোখে পড়বে। আমরা যারা ফাইনান্সের লোক তারা বুঝি, কোয়ালিফাইড একাউন্টস মানেই পরিচালনার বিষয়টা পুরো সন্দেহের চোখে দেখা যদি কোন অসঙ্গতি থেকে থাকে।

আগে কোন কোম্পানির চেয়ারম্যান বা পরিচালকদের যেই রিপোর্ট আসতো তার কোন ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষন থাকতো না। তারা তাদের মত বলে যেত। কিন্তু এখন অডিটরদের দায়বদ্ধ করা হয়েছে। যেখানে অডিটরদের একটা মন্তব্য দিতে হবে। অনেক সময় চেয়ারম্যান বা পরিচালকদের রিপোর্টে ভিভ্রান্তি থাকে ফলে ব্যবসায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই এখন তাদের রিপোর্টে অডিটরকে মন্তব্য দিতে হবে।

অনেকসময় ব্যবসার অনেক কিছুই বুঝা যায়না, তখন কোম্পানির অপ্রকাশিত যদি কোন কিছু থাকে তাহলে অডিটর মনে করে যে তা প্রকাশ করা উচিত, তখন অডিটর তার স্বউদ্যোগে তা প্রকাশ করতে হবে। এরপর মনে হয় না যে অডিট রিপোর্ট নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে। এখন অডিটরদেরকে আরো সময় নিয়ে কাজ করতে হবে, দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এটাকে ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য বা আর্থিক খাতের জন্য পজিটিভ দিক বলে মনে করছি। যার ফলে লেন্ডার, পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার, সবার জন্যই বিষয়টা ভালো হবে।

একটা কোম্পানির বছরে একটা অডিট করতে অনেক সময় দরকার হয়। যার ফলে আন-অডিটেড রিপোর্টের সুযোগ রয়েছে। তবে কেউ চাইলে অডিটেড রিপোর্টও করতে পারে। এখানে মুল বিষয় হলো উদ্যোক্তাদের মানষিকতার, অডিটের নয়।

অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড:

এটিবি নিয়ে কথা বলার আগে বলতে হয় আমাদের দেশের মত ওটিসি মার্কেট পৃথিবীর কোথাও নেই। ওটিসি মার্কেট গঠন করা হয়েছিল মুলত যাতে এই কোম্পানিগুলোকে কিভাবে মুল মার্কেটে ফিরিয়ে নেওয়া যায় সে জন্য। বাস্তবিক অর্থে আমরা তা দেখতে পাইনি।

এখন অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) যেটা করা হচ্ছে, সেখানে শুধু ওটিসিতে যারা আছে শুধু তারাই আসবে না, এখানে অপশন আসবে, সরকারের সিকিউরিটিজ আসবে, ১৯৬৯ এর এ্যাক্ট অনুযায়ি সিকিউরিটিজএর সব গুলোই এখানে আসবে, ডেরিভেটিভস আসবে, কমোডিটিজ আসবে। মুল বোর্ড ছাড়া পাচ কোটি টাকার নিচের সব কোম্পানিসহ অন্যান্য সিকিউরিটিজ এটিবি বোর্ডে আসবে। ছোট মূলধন পরিশোধিত কোম্পানিগুলোকে এটিবি বোর্ডে নিয়ে আসা হবে। ফলে মার্কেটে শৃংখলা বজায় থাকবে।

মাহবুব এইচ মজুমদার
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড