অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে তেলের দাম সমন্বয়ের ইঙ্গিত

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয় করা হলে আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারত। এবার আমরা সেটাই করবো।

মঙ্গলবার ২ মে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) ও এনটিভির  যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৫ শতাংশের ভ্যাটের কথা ২০১২ সাল থেকেই বলছি। ২০১২ সাল থেকে ভ্যাট আইন জারি করা হয়েছে। এটা এখনো কার্যকর হয়নি। এবার কার্যকর করব।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে দুই বছর ধরে কমতে শুরু করে জ্বালানি তেলের দাম। সেই প্রেেিত দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি উঠলে ২০১৬ সালেরর ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা এবং অকটেনের দাম ৮৯ ও পেট্রলের দাম হবে ৮৬ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

তবে বিশ্ব বাজারে যে হারে কমেছে তার তুলনায় এই হ্রাস খুবই কম। তাই আবার তেলের দাম কমানোর দাবি উঠে। এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী গত ডিসেম্বর মাসে ঘোষণা দেন- প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তেলের দাম কমানো হবে।

তিনি তখন বলেন, জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি। ডিসেম্বরে কমাতে চেয়েছিলাম। ডিসেম্বরে পারছি না, সুতরাং এটা জানুয়ারিতে হবে।

তবে অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে  জানুয়ারির মাসে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম দুই ধাপে কমানোর কথা ছিল, সরকারের কাছে অনুমতির জন্য প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্বে তেলের দাম বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাংক আভাস দিয়েছে, আগামী বছরও তেলের দাম বাড়তে পারে। এ কারণে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মুহূর্তে কোনো প্রাইজ অ্যাডজাস্টমেন্টে না যাওয়ার।

আজকে ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ।

আজকের বাজার: আরআর/ ০২ মে ২০১৭