আইপিএলকে ‘না’ সাকিবের

কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারকে উন্নতি করতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার সাকিব মাহমুদ। সতীর্থ বেন স্টোকসের সাথে পরামর্শ করেই এমন সিদ্বান্ত নিয়েছিলেন সাকিব।

একজন বিদেশি পেসারের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী সাকিব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেয়ায়, আইপিএলে খেলার আগ্রহ দেখাননি তিনি।

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো একটি প্রতিবেদনে বলছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ইংল্যান্ডের সিরিজ চলাকালীন আইপিএলের একটি দল সাকিবকে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলো, এমন দাবি করেছেন সাকিব।

কিন্তু সতীর্থ স্টোকসের পরামর্শে আইপিএলে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন সাকিব। এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘আমি আইপিএলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি যাতে কাউন্টিতে খেলতে পারি। আমি চাই লাল বলের ক্রিকেটে নিজের স্কিল বাড়–ক।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যারিবিয়ান সফরে থাকার সময় প্রস্তাব পেয়েছিলাম আমি। এটি একটি সিদ্বান্ত ছিলো, যা আমাকে নিতে হয়েছিলো। আমার আশপাশে থাকা কয়েকজনের সাথেও এ বিষয়ে কথা বলি। তখন বুঝতে পারি, এই মুহূর্তে আমার উচিত লাল বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়া। আশা করি, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে এটি আমাকে উৎসাহ দিবে এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে এখানে সেরা পারফরমেন্স করার দারুণ সুযোগ।’

তবে আইপিএলের কোন দল সাকিবকে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলো, সেটি জানাননি। তবে স্টোকসের সাথে আলোচনার পর সিদ্বান্তটি জানানো হয়েছে। এবারের আইপিএলে নিলাম শুরুর আগে নিজেকে সরিয়ে নেন গেল বছর ররাজস্থান রয়্যালসে খেলা স্টোকস।

সাকিব বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমারই ছিল। তবে মজার বিষয় হলো, একদিন সকালে স্টোকসের সাথে নাশতার টেবিলে এ বিষয়ে কথা হচ্ছিলো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কেনো, আইপিএলকে না করে দিয়েছে এবং সে জানালো টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে এবং দলের সাথে থাকতে চায় সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক ঐদিনই আমার কাছে আইপিএলে খেলার প্রস্তাবের ফোনকল আসে। এটি পুরোপুরি কাকতালীয় ছিল। তবে আমার জন্য দারুণ সময় ছিল। কারণ সকালেই আমি স্টোকসের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছি। আইপিএলে গিয়ে কোটি টাকা কামাতে পারতো। কিন্তু সেটি বেছে নেয়নি সে। আমারও তাই একই কথা মনে হয়েছিল। আমাকে টেস্ট ক্রিকেটে সফল হতে হবে এবং দলের অংশ হতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এগিয়ে যেতে হবে।’ খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান