আইসিবি কর্মচারীরা ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন

সরকারি বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কর্মচারীরা ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন। জমি কেনা, বাড়ি তৈরি বা বাড়ি সংস্কারের জন্য এ ঋণ দেয়া হবে। তবে ঋণ পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে আইসিবিতে স্থায়ী চাকরি থাকতে হবে। অর্থাৎ যোগ দেয়ার পর অন্তত তিন বছর পার হতে হবে। ঋণের বিপরীতে সুদ দিতে হবে ব্যাংক হারে।

গত ৩১ ডিসেম্বর জারি হওয়া আইসিবি (কর্মচারী) গৃহনির্মাণ অগ্রিম প্রবিধানমালায় এ সুবিধার কথা বলা হয়েছে। এতে সই করেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক। মূল আইসিবির কর্মচারীদের জন্যই এই প্রবিধানমালা প্রযোজ্য। আইসিবির সহযোগী (সাবসিডিয়ারি) কোম্পানিগুলোর কর্মচারীরা এই সুবিধা পাবেন না।

আইসিবিতে স্বামী–স্ত্রী চাকরি করলে একই জমির বিপরীতে ঋণ পাবেন একজন। তবে আলাদা জমির বিপরীতে আলাদা ঋণ মঞ্জুর করার সুযোগও রাখা হয়েছে। সংস্থাটিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা কোনো ঋণ পাবেন না।

প্রবিধান অনুযায়ী মেট্রোপলিটন ও সব সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য সরকারি বেতনকাঠামোর ১ থেকে ৫ নম্বর গ্রেডের কর্মচারীরা ঋণ পাবেন ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত। জেলা শহর বা পৌর এলাকার জন্য ঋণের সীমা ৮০ লাখ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ের জন্য ৭০ লাখ টাকা।

বেতনকাঠামোর ৬ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ঋণ পাবেন মেট্রোপলিটনে ৮৫ লাখ টাকা, জেলায় ৭৫ লাখ টাকা ও উপজেলায় ৬৬ লাখ টাকা। এভাবে তিন পর্যায়ে ১০ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৭০, ৬২ ও ৫৫ লাখ টাকা; ১১ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৬২, ৫৫ ও ৪৮ লাখ টাকা; ১২ ও ১৩ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৫৫, ৫০ ও ৪৫ লাখ টাকা; ১৪ থেকে ১৭ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৫০, ৪৫ ও ৪০ লাখ টাকা এবং ১৮ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডের বেতনধারীরা ৪৫, ৪০ ও ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।

প্রবিধানে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী চাকরিতে থাকা অবস্থায় মারা গেলে পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে সুদ মওকুফের প্রস্তাব করতে পারবে আইসিবির পরিচালনা পর্ষদ।

আজকের বাজার:এসএস/এলকে ১৩জানুয়ারি ২০১৮