আজ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আশা জাগানিয়া মানুষ। যিনি সবাইকে বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তুমিও তাই।’ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখান মানুষকে।

তার জীবনের চেষ্টাই হচ্ছে সুন্দরকে খোঁজা। অধ্যাপক সায়ীদের কথায়, ‘যারা পড়ান তারা সবাই শিক্ষক। কিন্তু সব শিক্ষক ‘গুরু’ হয় না।’ তবে তিনি সকলের ভালোবাসার শিক্ষক, গুরু। সকলেই ভালোবেসে ‘স্যার’ সম্বোধন করেন তাকে।

আজ  বুধবার (২৫ জুলাই) অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন।

১৯৩৯ সালের এই দিনে তিনি কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিবারের মতো এবারও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে তার জন্মদিন।

আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ভক্ত-অনুরাগীরা শুভেচ্ছা জানাবেন তাকে। সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কাটার আয়োজন তো থাকবেই।

শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সংগঠক, টিভি ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। মূলত বইপড়া কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে কাজ করছেন।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া থানার কামারগাতি গ্রামে। তার বাবা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। মায়ের নাম করিমুন্নেসা। ১৯৬১ সালে শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগ দেয়ার পর সিলেট মহিলা কলেজ, রাজশাহী কলেজ ও ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ) শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তার শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন।

বাংলাদেশে টেলিভিশনের সূচনালগ্ন থেকে বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় তিনি পথিকৃৎ ও অন্যতম সফল ব্যক্তিত্ব।

কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, নাটক, অনুবাদ, জার্নাল, জীবনীমূলক বই ইত্যাদি মিলিয়ে তার গ্রন্থভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ আন্দোলন, পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ নানা সামাজিক আন্দোলনে তিনি সব সময় সামনের কাতারে। কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, যার্ম ন ম্যাগসাসে, জাতীয় টেলিভিশনসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন।

এসএম/