আজ ওয়ালটনের আইপিও লটারির ড্র

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন শেষ হওয়া দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আইপিওর আবেদনের লটারির ড্র আজ ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠান হবে। কোম্পানি  সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)অনুমোদনের পেক্ষিতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৬ সেপ্টেম্বর আইপিও লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে কোম্পানির আইপিওতে আবেদন গত ৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলে। কোম্পানিটির আইপিওতে মোট ২৩৩ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী ৩১৫ টাকা কাট অব প্রাইসে আবেদন করেছে। এরমধ্যে ৬৬ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী কাট অব প্রাইসের থেকে বেশি ৩১৬ টাকা বা তদূর্ধ্ব টাকায় আবেদন করেছে।

কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিটি শেয়ার ২৫২ টাকা করে (২০% ছাড়ে) মোট ২০টি শেয়ারের মূল্য আসে ৫০৪০ টাকা এবং যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিটি শেয়ার ৩১৫ টাকা করে মোট ২০টি শেয়ারের মূল্য আসে ৬৩০০ টাকা করে লট নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া কোন বিনিয়োগকারী একাধিক লটের জন্য আবেদন করেও থাকেন অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ার কারণে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর একটি করে লট গণনা করা হবে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটি গত ৬ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে কন্সেন্ট লেটার পেয়েছে। এর মাধ্যমেই কোম্পানিটি আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করে। এর আগে বিএসইসির ৭২৯ তম কমিশন সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে কোম্পানিটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার ইস্যু করবে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি শেয়ার নিলামে সফল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হবে। বাকি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি শেয়ার বিক্রি করা হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে মোট ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেওয়া যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা ও আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করা হবে। উত্তোলনযোগ্য ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া ৩৩ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ ও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে আইপিও খরচ পরিচালনা করা হবে।

বিডিংয়ে ওয়ালটনের কাট-অফ প্রাইস হয়েছে ৩১৫ টাকা। এই দরে বিডিংয়ে অংশ নেওয়া যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ওয়ালটনের শেয়ার কিনবেন। তবে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর বিধান থাকলেও ওয়ালটন সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে প্রতিটি শেয়ার ২৫২ টাকা করে ইস্যু করবে।

গত ৩০ জুন, ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে পুনঃমূল্যায়নজনিত সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস ছিল ২৪৩ টাকা ১৬ পয়সা। আর পুনর্মুল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩৮ টাকা ৫৩ পয়সা।

সর্বশেষ ৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির ভারিত গড় হিসাবে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৪২ পয়সা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে আছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।