আমাকে চাপ দেবেন না, পুলিশকে নায়লা নাঈম

পুলিশি হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈম বলেছেন, বিড়াল ফেলে দেয়ার জন্য পুলিশের চাপের কারণে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করছেন।

পুলিশ কর্তৃক মানহানি ও মানসিক হয়রানির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি ।

শনিবার বিকালে নগরীর রেড অর্কিড রেস্তোরাঁ ও পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

নায়লা বলেন, ‍‘এই পুরো শহর ভবনে ঢেকে যাওয়ায় কুকুর এবং বিড়ালদের জন্য ঘুরে বেড়ানোর স্থান ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তাই আমি ১০ থেকে ১২ বছর ধরে তাদের যত্ন নেয়ার চেষ্টা করছি।’

‘তবে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য আমাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিবেশীরা আমার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করে চলেছে,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীরা প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন। তবে সেখানকার কর্মকর্তারা আমার বাসা ঘুরে দেখার পর আমার প্রশংসা করেছিলেন।

‘কিন্তু বিড়ালগুলো ফেলে দেয়ার জন্য পুলিশ আমাকে চাপ দিচ্ছে। তারা মানসিকভাবে হয়রানি করছেন। পুনরায় পশুর থাকার ব্যবস্থা সাজানোর ক্ষেত্রে পুলিশের উচিত আমাকে সহযোগিতা করা,’ বলেন নায়লা নাঈম।

এছাড়া তার কাছে ৫০০টি বিড়াল রয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মাত্র ১২ থেকে ১৪টি বিড়াল রয়েছে যেগুলো অসুস্থ। আমি তাদের ভালো খাবার পরিবেশন করি এবং চিকিত্সা সরবরাহ করি।’

প্রাণী কল্যাণ কর্মী ফারজানা লিও বলেন, বিড়াল ও কুকুরের বন্ধু নায়লা নাঈম এখন প্রতিবেশীদের শত্রু। প্রাণী লালন পালন করা মানবিক কাজ, কোনো অপরাধ নয়। এই কাজের জন্য সবার উচিত তার প্রশংসা করা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত একজন আইনজীবী বলেন, দেশের এমন কোনো আইন সম্পর্কে তিনি জানেন না যেখানে বিড়াল এবং কুকুর লালন-পালন করা নিষিদ্ধ।

উল্লেখ্য, নায়লা নাঈম বসবাস করেন রাজধানীর আফতাবনগরে। নিজের ফ্ল্যাটে তিনি অসংখ্য বিড়াল লালন-পালন করায় অন্যান্য ফ্লোরেও ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়ায় বলে প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের আপত্তি ও অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে এ বিষয়ে বাড্ডা থানায় বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে ফ্ল্যাট মালিক সমিতি।