আলালের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে : হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দেয়া বক্তব্য সাতদিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ও তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ (আইপি) টিভি।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নেতা আলাল যে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়েছে, এ নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সেই মামলার নিন্দা করে প্রকারান্তরে বক্তব্যের প্রতি সমথন দিয়েছেন। আমরা তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আগামী সাতদিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না করে জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে আলালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ডা. মুরাদের কথা আসার পরে এ্যাকশন নেয়া হয়েছে। তাকে জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগ কখনো অরুচিকর কথা-বাতা, অশালীন বক্তব্য সমথন করে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, অশুভ পন্থায়, অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করে দল গঠন করার ফলে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক শিক্ষাও নাই এবং শালীনতাও তাদের মধ্যে ছিলো না। আজকে শুধু আলাল নয়, বিএনপি শীষ নেতা বেগম খালেদা জিয়াও শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করেতও পিছপা হননি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে কর্মীসভা করে, জাতির পিতার নাম নেয়ার সময় শ্রদ্ধা নিয়ে পুরো নামটা উচ্চারণ করে না। এরা কত বড় অসভ্য, অশিক্ষিত হলে এসব করতে পারে।জননেত্রী শেখ হাসিনা তার মায়ের বয়সী, তার পুরো নামটাও নেয় না। বিএনপি নামক দলটি শালীনতা বিবর্জিত, অসভ্য, কুরুচিপূর্ণ দল এটা বারবার প্রমাণিত।’
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেতারা বিদেশিদের ডেকে নিয়ে কান্না করছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানবতা দেখিয়েছিন এমন একটা নির্দশন দেখাতে পারবেন? ক্ষমতায় এসে বিএনপি আওয়ামী লীগ নিধন শুরু করে। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কমীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির অত্যাচারে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। আর এখন চিকিৎসার কথা বলে সকাল-বিকাল কান্না করছেন। প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি করে গেছেন। এখন মানবতার কান্না করেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
বিবার্তা২৪ডটনেট সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে কী-নোট উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম মাসুম বিল্লাহ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবমহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।