ইজতেমা মাঠে সাদকে ঠেকাতে ‘সড়কে পাহারা’ কর্মসূচি!

ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাবলিগের কাকরাইলের মারকাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লির তাবলিগি মুরুব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে। কিন্তু তাদের ফাঁকি দিয়ে বেলা ৪টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মাওলানা সাদকে নিয়ে যাওয়া হয় কাকরাইলে।

কাকরাইলে নিয়ে গেলেও কোন অবস্থাতেই যেন মাওলানা সাদ এবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিতে পারেন সে জন্য ‘সড়কে পাহারা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাবলিগের একটি অংশ।

বুধবার ১০ জানুয়ারি বিমানবন্দরে আসর নামাজের পর বিক্ষোভের সমাপ্তি ঘোষণা করে নতুন কর্মসূচির ডাক দেন জামিয়া ইমদাদিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও তাবলিগের উপদেষ্টা সদস্য মাওলানা আবদুল কদ্দুস।

টঙ্গী দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাসউদুল করীম বলেন, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত পুরো এলাকার মাদরাসার ছাত্ররা ও তাবলিগ জামাতের ভাইয়েরা পাহারায় থাকবেন যেন মাওলানা সাদ ইজতেমার ময়দানে না যেতে পারেন।

তিনি জানান, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সীমানার জন্য আমির নির্ধারণ করা হয়েছে তাকে। আর মহাখালী থেকে কাকরাইল পর্যন্ত সব মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে কাকরাইলের পথে নেতৃত্ব দিতে আমির নিযুক্ত করা হয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামেয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হককে।

আগামী ১২ জানুয়ারি শুক্রবার টঙ্গীতে শুরু হচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব।এ পর্ব শেষ হবে আগামী শনিবার।

ইজতেমায় অংশ গ্রহণের জন্য আজ বুধবার ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মাওলানা সাদ। কিন্তু বাংলাদেশে তার আগমন ঠেকাতে সকাল থেকেই তাবলিগ জামাতের কয়েক হাজার অনুসারী শাহজালাল বিমানবন্দরে অবস্থান গ্রহণ করেন। বিক্ষোভে বক্তব্য দেন ঢাকার শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামা। তাদের দাবি, মাওলানা সাদকে ভারতেই ফেরত পাঠাতে হবে।

বিক্ষোভের কারণে বিমানবন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের।
বিক্ষোভের ফাঁকে বিকেল ৪টার দিকে মাওলানা সাদ বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল পৌঁছেন। তাকে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে কাকরাইল মসজিদে পৌঁছে দেয়া হয়।

কাকরাইলে মাওলানা সাদের অবস্থানের কারণে ব্যাপক পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুসল্লিদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যেসব মুসল্লি আসর ও মাগরিবের নামাজ কাকরাইল মসজিদে পড়তে গিয়েছিলেন তাদেরকে পাশ্ববর্তী মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, দেওবন্দ আলেমদের সমালোচনা এবং বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে তাবলিগ জামাতের একাংশ মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়ার বিরোধিতা করে আসছেন।