ইনিংস ও ১৩০ রানে হারল বাংলাদেশ

মাত্র তিন দিনেই ইন্দোর টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ এগিয়ে গেল ভারত৷ ইনিংস ও ১৩০ রানে হারল বাংলাদেশ

হোলকর স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে লড়াই চালালেও শেষরক্ষা হয়নি৷ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় অব্যাবত মোমিনুল হকদের৷ ভারতের থেকে ৩৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে শনিবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়৷

ইমরুল কায়েসকে (৬) অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন উমেশ যাদব। পরের ওভারেই শাদমান ইসলামকে (৬) বোল্ড করেন ইশান্ত শর্মা। মাত্র ১৬ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ৷ এরপর ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মহম্মদ শামি৷ অধিনায়ক মোমিনুল হককে (৭) এলবিডব্লিউ করেন শামি। আম্পায়ার নট-আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে উইকেট তুলে নেয় ভারত। পরের উইকেটটিও তুলে নেন শামি৷ মাত্র ৪৪ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ৷ শামির বাউন্সারে মারতে গিয়ে মিড-উইকেটে ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে সহজ ক্যাচ দেন মহম্মদ মিঠুন (১৮)। ৬০ রানে চার উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ৷

লাঞ্চের পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২৮ রান যোগ করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ, তিনিও শামির শিকার৷ ব্যক্তিগত ১৫ রানে শামির বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহ৷ ৭২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ৷ তবে এখান থেকে লিটল দাসকে সঙ্গে নিয়ে মরিয়া লড়াই করেন রহিম৷ ষষ্ঠ উইকেট দু’জনে ৬৮ রান যোগ করার পর ব্যক্তিগত ৩৫ রানে লিটনকে ‘কট অ্যান্ড বোল্ড’ করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷

প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ দেড়শো রানে গুটিয়ে গেলে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরি এবং অজিঙ্ক রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা ও রবীন্দ্র জাদেজার হাফ-সেঞ্চুরিতে পাঁচশোর দৌড়গোরায় পৌঁছে যায় ভারত৷ যদিও বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা রান পাননি। ময়াঙ্ক ২৪৩, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০ এবং পূজারা ৫৪ রান করেন। শুক্রবার সারা দিনে ৪০৭ রান তোলে ভারত।

এদিন সকালে অবশ্য ব্যাট করতে নামেনি ভারত৷ শুক্রবারের ছয় উইকেটে ৪৯৩ রানের স্কোরেই প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার্ড দেয় টিম ইন্ডিয়া। ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে এদিন সকালে বাইশ গজের কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নতুন বলে আক্রমণ শুরু করেন ভারতীয় পেসাররা ইশান্ত ও উমেশ দু’জনেই শুরুতে গতি, সুইং, বাউন্সে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেললেন। তারপর শামির সুইং ও গতিতে বাংলাদেশের মিডল-অর্ডারে ধস নামে৷

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান