ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে শুক্রবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৯। তবে এতে সুনামির কোন সতর্কতা জারি করা হয়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয় ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা একথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ওই সংস্থা জানায়, সমুদ্র তলদেশের এ ভূমিকম্প সুলাওয়েজি দ্বীপের কাতাবুর প্রায় ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপৃষ্ঠের ৬শ’ কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে আঘাত হানে।
খবরে বলা হয়, বন্দা সমুদ্রে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার দূর থেকেও এটি অনুভূত হয়।
ভূপৃষ্ঠের গভীরে আঘাত হানা যেকোন ভূমিকম্পের চেয়ে ভূপৃষ্ঠের স্বল্প গভীরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ক্ষতির প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। ইউএসজিএস জানায়, ফলে এতে হতাহত বা ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটা কম রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানায়, ‘এ ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পায়নি।’
উৎপত্তি কেন্দ্রের একেবারে দক্ষিণের কুপাং থেকে এএফপি’র এক প্রতিবেদক জানান, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে ঘরবাড়ি কেঁপে উঠলে সেখানের বাসিন্দারা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং দ্রুত বাইরে বেরিয়ে যায়।
অবস্থানগত কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় বারবার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এবং এরফলে সৃষ্ট সুনামিতে ৪ হাজার ৩শ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারায় বা নিখোঁজ হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৫।
২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে রিখটার স্কেলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সৃষ্ট ভয়াবহ সুনামির ঘটনায় এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এতে ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়।