ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগের দুই দিনের তুলনায় আজ শনিবার ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হচ্ছে। কোথাও দীর্ঘ যানজট নেই, তবে কিছু মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি আছে।
তিনি বলেন, ‘সড়কে যেটা হচ্ছে সেটা ধীরগতি। এ কারণে সময়মত গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না। যাত্রীরা টার্মিনালে বসে কষ্ট পাচ্ছেন। কিছুটা দুর্ভোগ যে নেই, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আগের দুই দিনের তুলনায় শনিবার ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক হচ্ছে।’
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে আজ শনিবার রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের ঈদযাত্রা মোটামুটি স্বস্তিদায়ক। তবে তীব্র যানজট নেই। তবে মহাসড়কে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের দিকেও ধীরগতি আছে। সড়কের বেহাল দশা বা মন্ত্রণালয় ও সড়ক পরিবহন বিভাগের সমন্বয়হীনতা নয়, মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়েছে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে।’
ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে দিন। আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। শুক্রবার পর্যন্ত এই অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনসাধারণকেও বলবো, বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে যানজট হচ্ছে পশুবাহী গাড়ি ও ভারী বৃষ্টির কারণে। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ধীরগতির ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘরমুখো মানুষের বাড়ি পৌঁছাতে কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারাবছর কাজ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে, অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে। এবার ডেঙ্গু আতঙ্ক থাকার পরও মানুষের বাড়ি যাওয়ার ঢল নেমেছে।
ডেঙ্গু নিয়ে বিএনপি অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা ফটোসেশন আর সংবাদ সম্মেলন করেই ক্ষ্যান্ত। মাঠ পর্যায়ে এদের দেখা যায় না। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করছে, ছুটিছাটাও বাতিল করা হয়েছে। বিএনপির ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কেবল ফেসবুককেন্দ্রিক।
এসময় বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েতুল্লাহ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।