এইচপি প্রোগামের মাধ্যমে তরুণ ক্রিকেটারদের প্রস্তুতের আহ্বান

হাই পারফরম্যান্সর (এইচপি) চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়, এমপি, এইচপি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে থাকা তরুণ খেলোয়াড়দের কৌশল এবং খেলার অন্যান্য দিক সংশোধন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এইচপি প্রোগ্রাম চলাকালীন তরুণ খেলোয়াড়দের এমনভাবে প্রস্তুত করা উচিত যাতে জাতীয় দলে তাদের কৌশল নিয়ে যেন কাজ না করতে হয়।

দূর্জয় বলেন, ‘আমি এইচপি খেলোয়াড়দের দক্ষতা, কৌশল এবং খেলার অন্যান্য দিক সংশোধন করতে বলেছি যাতে তাদের জাতীয় দলে সেগুলো নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন না পড়ে। এইচপি প্রোগ্রামে কঠোর পরিশ্রম করে প্রত্যক খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা উচিত।’

২৫ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এইচপি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদের বেশিরভাগই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় করা দল থেকে এসেছেন। প্রধান কোচ টবি রেডফোর্ডকে ছাড়াই প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে দলের সাথে যোগ দিতে পারেননি রেডফোর্ড। তাই স্থানীয় কোচদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে বলে জানান দূর্জয়।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে এইচপি প্রোগ্রামটি অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের ভালো সুযোগ।

দূর্জয় বলেন, ‘আমরা যদি অন্য দেশের দিকে তাকাই তবে দেখব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কিছু খেলোয়াড় সরাসরি জাতীয় দলে জায়াগ করে নিয়েছে। কিন্তু অন্যদের জন্য, সমস্যা থেকেই যায়। সমস্যা দূর করতে আমরা এইচপি প্রোগ্রামটি ব্যবহার করতে পারি। কখনও কখনও আমরা কিছু খেলোয়াড়কে মেধাবী খেলোয়াড় হিসাবে গণ্য করি, তবে তাদের কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। যা এইচপিতে প্রোগ্রামের মাধ্যমে সংশোধন করা উচিত তাদের।’

তিন দলের আসন্ন ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দলে যোগ দেয়ার আগে ২৫ সদস্যের এইচপি স্কোয়াডে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ফিটনেস এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে।
ওয়ানডে টুর্নামেন্ট শেষে আবারো অনুশীলন শুরু হবে। স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তায় গত ৫ অক্টোবর খেলোয়াড়দের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিলো। ঐ পরীক্ষায় সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

এইচপি স্কোয়াড :
ব্যাটসম্যান : তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, শাহাদাত হোসেন, মাহমুদুল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়।
স্পিনার : মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, রাকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ, তানভির ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদি হাসান।

পেসার : শরিফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুন, শাহিন আলম, সুমন খান, নোমান চৌধুরী সাগর, অভিষেক দাস ও রেজাউর রহমান রেজা।
উইকেটরক্ষক : মাহিদুল ইসলাম ভুইয়া অংকন ও আকবর আলী।