এবার ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় ওবাদুল কাদের

শিক্ষার্থীদের পরে এবার গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই করার জন্য রাস্তায় নেমেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় আকস্মিকভাবে এ তৎপরতা চালানো হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদেরও উপস্থিতি দেখা যায়।

জানা যায়,  ওবায়দুল কাদের প্রথমে একটি বাস ধরে ফেলেন। চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান, এসময় মন্ত্রীকে দেখে চালক বিস্মিত হয়ে যান। এরপর কাগজপত্র দেখান। কাগজপত্র সব ঠিকঠাক থাকায় বাসটিকে ছেড়ে দেন। এরপর সময় টেলিভিশনের একটি গাড়ি আটক করেন। অবশ্য গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকায় সেটাও ছেড়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রী আরো কয়েকটি ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার গাড়ির কাগজ যাচাই করেন।

পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় এভাবেই বেশকিছুক্ষণ গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করছিলেন মন্ত্রী। তিনি তার সঙ্গে থাকা ট্রাফিক বিভাগের লোকদের নির্দেশ দেন যাতে গতিসম্পন্ন সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা না চলে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে কি না, স্থানীয়দের কাছে জানতে চান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মীমকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় টানা কয়েকদিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে। এমনকি রাস্তায় ছোট বড় সব ধরনের গাড়ি থামিযে  লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই করে শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকেই সড়কে নৈরাজ্য বন্ধে তৎপর হয় প্রশাসন। আজ ওবায়দুল কাদের এ অভিযান চালালেন।

আজকের বাজার/এমএইচ