এম.ভি. গাজী এক্সপ্রেস-৪ লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

ঢাকা-ভেদরগঞ্জ-ওয়াপদা চন্ডিপুর নৌরুটে এম.ভি. গাজী এক্সপ্রেস-৪ লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরঘাট টার্মিনালে থেকে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। পরে সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুরের কাঁচিকাটা এলাকায় এসে ভাড়া নেওয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে।

একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া বিকেল ৪টার দিকে সুরেশ্বর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চটি ছেড়ে যায়। তখনও যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেয়া হয়েছে।

ঢাকা থেকে আসা লঞ্চের যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি গতকাল রাতে সুরেশ্বর থেকে ঢাকা গিয়েছি ১৫০ টাকা দিয়ে। কিন্তু সরকার-নির্ধারিত ভাড়া ১৪৮ টাকা। এখন ঢাকা থেকে সুরেশ্বর যাচ্ছি গাজী লঞ্চ এক প্রকার জোর করেই ভাড়া নিলো ১৭০ টাকা। একই ঘাটের লঞ্চ দুই রকম ভাড়া ব্যাপারটা এক প্রকার জুলুম।

লঞ্চের যাত্রী কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী ঢাকা থেকে বাড়ি যাচ্ছি। প্রতিজনের ভাড়া ১৪৮ টাকা। দুজনের ভাড়া হয় ২৯৬টাকা। কিন্তু ৩৪০টাকা ভাড়া নিল। কত অনুরোধ করলাম তারা কম নিল না। আমার ছেলে বলেছে ১৫০ টাকা করে ভাড়া সে হিসেব করেই টাকা দিয়েছিলো।

জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম জানান, তিনি ভুল করে তার আইডি কার্ড ঢাকায় রেখে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিলেও তার থেকে ১০ টাকাও কম রাখেনি। তিনি আরো যোগ করে বলেন, এই নৌরুটে আমরা প্রতিনিয়ত যাওয়া-আসা করি মাঝে মাঝে তাদের মিস ব্যবহার খুব কষ্ট দেয়।

ব্যবসায়ী আদম আলী বলেন, গাজী লঞ্চের কথা নতুন করে আর কি বলবো। আমরা ছোটখাটো ব্যবসায়ী। ঢাকা থেকে অল্প কিছু মালামাল আনলেও তারা অনেক বেশি ভাড়া নেন। এছাড়া এই রুটে ১৩০ টাকা ভাড়া ছিলো হঠাৎ করেই ১৫০ টাকা করে। আজ আবার নতুন করে ১৭০ টাকা নিচ্ছে। আসলে তারা যা বলে তা মেনেই আমাদের চলতে হয়।

এম.ভি. গাজী এক্সপ্রেস-৪ লঞ্চের সুপারভাইজার বাবু মিয়া বলেন, মালিকের সিন্ধান্তেই যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫০টাকা ও ১৭০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়েছে। আমি এই লঞ্চের কর্মচারী আমাদের মালিকের কথা মতোই কাজ করতে হয়।

লঞ্চের মালিক বাবু গাজী বলেন, এই রুটে ভাড়া ১৫০ টাকাই। আমি অতিরিক্ত টাকা নিতে বলিনি। প্রথমে ১৭০ টাকা নেওয়া হলেও পরে ১৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আসলে এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাশেদউজ্জামান বলেন, ব্যাপারটি আমি জানলাম। খোঁজ নিচ্ছি ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান