ওজন কমায় দই

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম করে যদি অন্তত এক কাপ টক দই খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক শারীরিক সমস্যাকে চিরকালের মতো দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক টক দইয়ের আশ্চর্য কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে…

১) টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে এবং টক দই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম যা রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। আর এ কারণে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

২) ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করতে থাকেন অনেকেই। ওজন কমানোর মূল হাতিয়ার হিসেবে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। এ ছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খিদে খিদে বোধ কম হয়।

৩) কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি শারীরিক সমস্যা। টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

৪) অতিরিক্ত তেল ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাও দূর করতে পারে টক দই। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে।

৫) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস কোলেস্টরল কমায় এবং সেই সঙ্গে কমায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।

৬) অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। অর্থাৎ, অনেকেরই ল্যাকটোস ইন্টলারেন্সের সমস্যা রয়েছে। ফলে দুধ সহজে হজম হতে চায় না। তারা অনায়েসেই দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন।

৭) কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে অনেক সময় অনেক টক্সিন জমে থাকে। আর নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস রক্ত পরিশোধনে কাজ করে রক্তকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।