করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮৮,৭৪০

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪০ জনে।

এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৫ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৪ জনে।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ১২ লাখ ২৮ হাজার ১১৪ এবং ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৪৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

করোনায় ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ৯৭২ জনের এবং রাশিয়ায় মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৯৪ জন।

রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৯৪ জনে।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৫৫ জনের।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি:

দেশে নতুন করে আরও ৩৯৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৩৯ জন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি।

দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১. ৯২ শতাংশ। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৬২১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ এবং নারী সাতজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাড়িতে ১১ জন।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৮২৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৬৭ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।