করোনায় চট্টগ্রামে আক্রান্তের দ্বিগুণ সুস্থ, ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের চেয়ে আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ সময়ে ৩ করোনা রোগির মৃত্যু হয়। নতুন করে সংক্রমিত হন ১৩৭ জন। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল মঙ্গলবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ চট্টগ্রামের ল্যাবে ১ হাজার ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১৩৭ জনের মধ্যে শহরের ৮৫ এবং বারো উপজেলার ৫২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৬, সীতাকু-ে ৭, ফটিকছড়িতে ৬, মিরসরাইয়ে ৫, বোয়ালখালীতে ৪, আনোয়ারা ও বাঁশাখালীতে ৩ জন করে, রাউজান, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৩ হাজার ৬৪২ জন। এর মধ্যে শহরের ৪২ হাজার ৬৯২ ও গ্রামের ১০ হাজার ৯৫১ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত দুই পুরুষ ও এক নারী মারা গেছেন। এদের ২ জন শহরের ও ১ জন গ্রামের। মৃতের সংখ্যা এখন ৬২৫ জন। এতে শহরের ৪৪৬ ও গ্রামের ১৭৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩১০ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪১ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৫ হাজার ৮২৮ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৫ হাজার ২৪৬ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৯ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৮৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ১৭ ও গ্রামের ৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩৪ ও গ্রামের ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৭ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনসহ ২২ জনের দেহে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২১টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ৪টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২টিসহ ১১টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪টি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬টি নমুনায় শহরের ৩টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ২০টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬টিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
এদিন চট্টগ্রামের ৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিনটিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তবে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, চমেকে ৩২ দশমিক ৯১, চবি’তে ১৪ দশমিক ৯৬, সিভাসু’তে ১১ দশমিক ৫৭, আরটিআরএল-এ ১৯ দশমিক ৩০, শেভরনে ১ দশমিক ৫৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৭৫, মেডিকেল সেন্টারে ৩০ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।