করোনায় চট্টগ্রামে আক্রান্ত ২১

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ২১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল নগরীর এগারো ল্যাব, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ও এন্টিজেন টেস্টে ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন ২১ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের ১২ ও ছয় উপজেলার ৯ জন। উপজেলার ৯ জনের মধ্যে হাটজাজারী, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ৩ জন করে এবং পটিয়া, সন্দ্বীপ ও লোহাগাড়ায় একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৮ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৭৫১ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৭৩ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। বিআইটিআইডি’তে ৩৩টি নমুনায় শহরের ২টিতে করোনার জীবাণু মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪০ নমুনায় শহরের একটি ও গ্রামের ৩টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৬টি নমুনায় শহরের এক ও গ্রামের দু’টিতে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩ নমুনায় শহরের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৪ নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬ নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৭, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ০৬, চমেকহা’য় ১০, সিভাসু’তে ১১ দশমিক ৫৪, আরটিআরএল-এ ৩৩ দশমিক ৩৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ০৩, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ দশমিক ৬৬ ও এভারকেয়ার হসপিটালে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৪০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।