করোনায় চট্টগ্রামে নতুন ৭ জন সংক্রমিত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নতুন ৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল রোববার এন্টিজেন টেস্ট এবং ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৭ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা একজন এবং তিন উপজেলার ৬ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ৫৭৩ জনে পৌঁছেছে। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৪ হাজার ২১৮ জন শহরের ও ২৮ হাজার ৩৫৫ জন গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৬ জনের মধ্যে আনোয়ারায় ৩ জন এবং রাউজান ও সাতকানিয়ায় একজন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের ও ৬০৯ জন গ্রামের বাসিন্দা।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের একজন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৫২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজন আক্রান্ত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২২ নমুনায় একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৩৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৭, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪, বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৯৬ এবং করোনা পরীক্ষায় নতুন যুক্ত এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। পাঁচ ল্যাবে পরীক্ষিত ৩৬৬ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ দশমিক ২১, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৩৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ১০, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪ দশমিক ৫৪ ও এন্টিজেন টেস্টে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং চমেকহা, আরটিআরএল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।