করোনায় মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকালে মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

লায়লা বানু ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান মন্ত্রণালয়ের সিনিয় তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৩ জুন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন।

মন্ত্রী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে এবং তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি মারা যান।

তিনি দুই মেয়ে, এক ছেলে, ছয় নাতি এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আসর নামাজের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় কবরস্থান মাঠ সংলগ্ন মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৪৯ সালের ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন লায়লা আরজুমান্দ বানু। ১৯৭৪ সালের ১৬ এপ্রিল মোজাম্মেল হকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।

গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তিনি।

দেশে আরও ৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আরও ৩৮০৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৮ হাজার ৯৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ১৯৭টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮০৯ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। নতুন করে আরও ৪৩ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৩৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮. ৮৭ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৩১ এবং নারী ১২ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে ১২ জন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৭২৭ জন। সুস্থতার হার ৪০.৪৪ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।