করোনা শনাক্তের ৬০তম দিনে তুলনামূলক স্বস্তিতে বাংলাদেশ

দেশে করোনা শনাক্তের ৬০ তম দিনে শনাক্ত ১২ হাজারের বেশি, মৃত প্রায় ২০০ জন। সংখ্যার হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই দুই মাসের মাথায় সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে টেস্ট বাড়ানো আর মৃতের সংখ্যা তুলনামুলক কম থাকা বড় স্বস্তির বিষয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুর দিকে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার ফল ভুগছে বাংলাদেশ। তবে এখনো সময় আছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার।

এক সময় যে শহরের নাম অজানা ছিল অনেকের কাছে, করোনার কল্যাণে সেই উহানের নাম এখন মুখে মুখে। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ এ উহানে জন্ম নেয়া ভাইরাসটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বের এ মাথা থেকে ও মাথা। ৪০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে বড় হচ্ছে প্রাণ হারানো মানুষের তালিকা।

উহানে শনাক্তের ৬০ দিনের মাথায় চীনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন করোনায়। মারা যান দুই হাজার ৮৩৫ জন। ইতালি ও স্পেনে প্রথম শনাক্ত হয় একই দিনে। দুই দেশেই প্রথম দুই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো গড়ে ১ লাখ। ইতালিকে ছাড়িয়ে ইউরোপে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা এখন যুক্তরাজ্যে।

ফ্রান্সে প্রথম দুই মাসে মারা গেছেন এগারশোর মতো মানুষ। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় এখন সব দেশকে ছাপিয়ে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু খুবই কম শনাক্ত আর আক্রান্ত ছিলো প্রথম দুই মাসে।

আর মৃত্যুর খবরের মাঝে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ঘোষণা দেয় প্রথম শনাক্তের। এরই মধ্যে ১২ হাজার ছুয়েছে শনাক্তের ঘর। সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ১৯৯ জন। পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখেরও বেশি মানুষকে। প্রশ্ন হলো, ৮ মার্চের পর কি ঠিক পথে হেটেছিলো বাংলাদেশ?

সংক্রমণের হার বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখনো যে কম আছে সেটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু ক্রমেই বাড়তে থাকা সংক্রমণের সময় পোশাক কারখানা, দোকানপাট ও মসজিদে জামাতের অনুমতি দেয়াকে স্বাগত জানাচ্ছেন না রোগনিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা।

পরিসংখ্যান নয়, করোনার বৈচিত্রময় আক্রমণ ও বাংলাদেশের মানুষের সচেতনতাবোধ মাথায় রেখে ভবিষ্যত পরিকল্পনার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।