কলম্বিয়ায় কয়েক দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত, ৮শ’ আহত

কলম্বিয়া সরকারের প্রস্তাবিত কর আরোপ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের বিক্ষোভ চলাকালে দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং ৮শ’র বেশি আহত হয়েছে। সোমবার কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ওম্বাডসম্যান্স অফিস জানায়, বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ৮৪৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩০৬ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল কলম্বিয়াজুড়ে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ চলাকালে ৪৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে সরকার সহিংসতা পরিস্থিতির একেবারে অবনতি ঘটা বিভিন্ন নগরীতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে।
বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোয় বিভিন্ন এনজিও পুলিশকে দায়ী করেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিগো মোলেনো বলেন, এ সহিংসতা ফার্কের ভিন্নমতাবলম্বীদের এবং ইএলএন সদস্যদের পূর্বপরিকল্পিত ও সংগঠিত পদক্ষেপ। তারাই এ সহিংসতায় অর্থের যোগানদাতা।
কলম্বিয়া বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী ফার্ক বামপন্থী বিদ্রোহীরা দেশটিতে অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসানে ২০১৬ সালে সরকারের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও দেশে সর্বশেষ গেরিলা গ্রুপ হিসেবে স্বীকৃত ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) তা থেকে বিরত থাকে।
দেশের অস্থির পরিস্থিতি মোকাবেলা করা প্রেসিডেন্ট ইভান ডুকের সরকার রোববার কংগ্রেস থেকে কর আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রস্তাবটি নিয়ে বিতর্ক চলছিল।
সরকারের এমন নির্দেশ সত্ত্বেও সোমবার অনেক মানুষকে রাজধানী বোগোটার উপকণ্ঠে বিক্ষোভ এবং রাস্তা অবরোধ করতে দেখা যায়।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের এ সময়ে দেশটিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।