কানাডায় বিরল প্রজাতির ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাস শনাক্ত

কানাডার কুইবেক প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক ডজনেরও বেশী লোকের সন্দেহজনক ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাস সংক্রমনের ঘটনার তদন্ত করছে। এটি বিরল প্রজাতির এবং ভয়ংকর ভাইরাস। বুধবার সরকারি ব্রডকাস্টার সিবিসি’র রিপোর্টে এ কথা জানানো হয়।
ইউরোপীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই সপ্তাহের শুরুতে কয়েক ডজন মাঙ্কিপক্স শনাক্ত নিশ্চিত করার পর যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলেছে, সম্প্রতি কানাডা ভ্রমণ করা এক ব্যক্তির মাঙ্কিপক্স শনাক্ত নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, মুখ ও শরীরে ‘গুটি বসন্তের’ মতো ফুসকুড়ি হওয়ার আগে অসুস্থতাটি প্রায়শই ফ্লুর মতো উপসর্গ যেমন জ্বর, পেশীতে ব্যথা এবং নাসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
মন্ট্রিয়লের কুইবেক শহরের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ১৩ টি সংক্রমণের ঘটনার তদন্ত করছে। সিবিসি জানিয়েছে, যৌন এবং রক্তবাহিত সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে রোগ নির্ণয় করার পর তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়। আগামীকাল বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিবেশী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং সিডিসি বুধবার এই বছরের প্রথম এই সংক্রমণের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে।
ম্যাসাচুসেটস স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কেসটি জনসাধারণের জন্য কোন ঝুঁকি তৈরি করে না এবং ব্যক্তিটি হাসপাতালে ভর্তি এবং ভালো অবস্থায় আছে।’
সিডিসি জানায়, সংক্রমিত ব্যক্তির শারিরীক তরল, ঘা কিংবা ব্যবহৃত জিনিসিপত্র’র (যেমন পোশাক এবং বিছানা) সংস্পর্শে এই রোগ ছড়াতে পারে। ঘরে ব্যবহৃত জীবাণুনাশক এই ভাইরাস মেরে ফেলতে পারে।
সিডিসি’র পক্স ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ইনগার ডেমন এক বিবৃতিতে বলেছেন, পর্তুগাল, স্পেন এবং ব্রিটেনে গত দুই সপ্তাহে শনাক্ত হওয়া অনেক গুচ্ছ সংক্রমণের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানে নির্বিচারে ‘যৌনাচারের মধ্যে’ এই সংক্রমণ ঘটেছে। ‘একাধিক ইউরোপীয় সংক্রমণের ঘটনায় পুরুষদের মধ্যে সমকামী সম্পর্ককে দায়ী করা হয়েছে। যৌন সম্পর্কের নির্বিশেষে যে কেউ মাঙ্কিপক্স ছড়াতে পারে।’
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) বুধবার জানিয়েছে, ৬ মে থেকে যুক্তরাজ্যে মাঙ্কি পক্সের নয়টি সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।
স্পেন এবং পর্তুগাল বুধবার ঘোষণা করেছে যে তারা ৪০টির বেশী সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করেছে।