কাপ্তাই-লেকের ছোটমাছের সংখ্যা কমাতে মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (BFDC) এর উদ্যোগে ‘কাপ্তাই-হ্রদে মৎস্যউৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্যচাষ কলাকৌশল’ বিষয়ক এক কর্মশালায় বক্তারা লেকে মৎস্যচাষের উন্নত ব্যপস্থাপনার ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, কাপ্তাই-লেকে নিয়মিতভাবে কার্পজাতীয় মাছের পোনা ছাড়া হলেও দিনদিন তার উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ছোটমাছের পরিমান ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। এই লেকে কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন ৮৫% থেকে কমে বর্তমানে ৫% এ দাঁড়িয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন কমার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে তারা লেকে গুণগতমানসম্পন্ন পোনা ও খাদ্যসরবরাহের পরামর্শ দেন এবং কার্পজাতীয় মাছের যথাযথ বৃদ্ধির পূর্বেই চোরাপথে তাদের পোনাসহ অন্যান্য মাছের ব্যাপন নিধনযজ্ঞকে দায়ী করেন। সরকারি অবতরণকেন্দ্রসমূহকে এড়িয়ে লেকের ধৃত চোরাইমাছ বাজারে চলে যাওয়ায় লেকের উৎপাদিত মাছের সঠিক তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না বলে তারা আশংকাপ্রকাশ করেন। লেকের মাছের উৎপাদনবৃদ্ধির জন্য বাইরে থেকে পোনা আনার বদলে লেকেই পোনার অটো-স্টকিং বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ফার্মগেটেস্থ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, লেকে ছোটমাছের আধিক্য থাকলে সেখানে কার্পজাতীয় মাছের বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তাই কাপ্তাই-লেকের ছোটমাছের সংখ্যা দ্রুত কমাতে হবে যাতে লেকের খাদ্যের স্টকও বাড়ে। তিনি লেকের অবৈধ মাছধরা এবং অবতরণকেন্দ্রের বাইরে চোরাপথের মাছসরবরাহরোধ করতে চেকপোস্ট বাড়াতে বিএফডিসিকে নির্দেশ দেন।

তিনি লেকের কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন ও গুণগতমান বাড়াতে লেকের উৎপাদিত পোনাই আবার লেকে ছাড়ার পরামর্শ দেন। তিনি কাপ্তাই-লেকের অভয়াশ্রম এবং অবতরণকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আই আই ইউ সি বাংলাদেশ এর প্রভিসি ড মোহাম্মদ আলী আজাদী এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সচিব সাজ্জাদুল হাসদান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, যুগ্মসচিব তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ।