কাবুল বিমানবন্দরে আরো সন্ত্রাসী হামলার আশংকা যুক্তরাষ্ট্রের

কাবুল থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। এ অবস্থাতেও রোববার আত্মঘাতি হামলার আশংকা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকান ও তাদের আফগান মিত্রদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শেষ হওয়ার আগেই আবারো হামলার উচ্চ ঝুঁকির কথা বলেছেন।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর মার্কিন সামরিক বাহিনী এ পর্যন্ত এক লাখ ১২ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সরিয়ে নেয়ার ব্যাপক তোড়জোড়ের মধ্যেই বৃহস্পতিবার কাবুল বিমান বন্দরে বড়ো ধরনের আত্মঘাতি হামলায় একশরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ মার্কিন সৈন্যও রয়েছে।
আত্মঘাতি হামলার জবাবে শনিবার মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালায়।এতে আইএস এর উচ্চ পর্যায়ের দুজন নিহত হয়েছে বলে পেন্টাগণ দাবি করেছে। কিন্তু বাইডেন আইএসের পক্ষ থেকে আরো হামলার আশংকা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থল পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে বিপদজনক হয়ে উঠছে। বিমানবন্দরে আবারো সন্ত্রাসী হামলার তীব্র ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টায় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর সর্বোচ্চ ঝঁুিকর বিষয়টি আমাদের কমান্ডাররা জানিয়েছেন।
এ প্রেক্ষিতে কাবুল বিমানবন্দরের প্রবেশপথসহ সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বিশ্বাসযোগ্য হামলার হুমকির বিষয়ে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
এদিকে আত্মঘাতি এ হামলার পর লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজে মার্কিন বাহিনীর সমর্থনে এগিয়ে এসেছে তালেবান যোদ্ধারা যা পনেরো দিন আগেও ছিল অবিশ্বাস্য।