কুমিল্লার বেশ কয়েকটি গ্রামে তৈরি হচ্ছে বাটিক কাপড়

জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে যুগ যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে বাটিক কাপড়। বাটিক কাপড় তৈরি হয় সম্পূর্ণ হাতে। কাঠের প্লেটে খোদাই করে নকশা তৈরি করা হয়। পরে মোমের ব্লক দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় হরেক রকম ডিজাইন। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আর কাস্টমারদের চাহিদার কথা ভেবে নিত্যনতুন ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন স্থানীয় কারিগররা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এসব কাপড়। স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লায় খদ্দর কাপড়ের পাশাপাশি বাটিক কাপড়ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কয়েক যুগ আগ থেকে। কালের আবর্তে খদ্দর কাপড় হারিয়ে যেতে বসলেও বাটিক রয়েছে সগৌরবে। জেলার সদর উপজেলার কমলপুর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা গ্রামে বাটিক কাপড় তৈরি হচ্ছে স্বাধীনতার বহু আগ থেকে। দুটি গ্রামে ১৫টিরও বেশি বাটিক কারখানা রয়েছে। শাড়ি, থ্রি পিস, বিছানার চাদর, ওড়নাসহ হরেক রকম কাপড় তৈরি হয় গ্রামটিতে।

বাটিক কারিগর রাসেল হোসেন বলেন, বাটিক কাপড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। তাই তারাও কাজে ব্যস্ত থাকছে। এতে মজুরীও ভালো মিলছে। দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা গ্রামের বাটিক কাপড় ব্যবসায়ী সিরাজুল কাদের বলেন, এখন দিনরাত চলছে কাপড় তৈরির কাজ। চাহিদা থাকায় উৎপাদনও বেশ ভালো। কারিগররাও লাভবান হচ্ছে। ভালো মজুরী পায় তারা। বাটিক ব্যাবসায়ী কুমিল্লার চন্দন দেব রায় জানান, বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লার বাটিক শিল্প খদ্দরের পাশাপাশি শ্রীবৃদ্ধি পাচ্ছে সারা দেশে। চন্দন দেব রায় বলেন, সরকারি সহায়তা পেলে বাটিক শিল্প শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে সমাদৃত হবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান