কুমিল্লায় মুজিববর্ষে আরও ১২৯১টি ভূমিহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কুমিল্লায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাচ্ছে ১২৯১টি ভূমিহীন পরিবার। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ৬৬২টি ঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাকি ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপপরিচালক শওকত ওসমান বাসসকে বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ২য় পর্যায়ের ১২৯১টি ঘরের বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। খাসজমি চিহ্নিতকরণে সমস্যা, বৃষ্টি, নিচু ভূমির মাটির জটিলতা, ভূমিহীন চিহ্নিত করাসহ নানা জটিলতায় বাকি ঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্তে বিলম্ব হচ্ছে। কুমিল্লায় আরও ৬২৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ৫৯৫ টি ঘরের মধ্যে প্রথম ৩৪৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। কাজ শেষ হয়েছে আরও ২৩০টি ঘরের। আশ্রয়ণকৃত ঘরের বাসিন্দাদের জন্য কবরস্থান, পুকুর, মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার।
কুমিল্লার আদর্শ সদরে বরাদ্দকৃত ১০২টি ঘরের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৫৩, সদর দক্ষিণে ৪৪ টির মধ্যে ৩০, চৌদ্দগ্রামে ১৮০টির মধ্যে ১২৫, নাঙ্গলকোটে ১৪৩ টির ৪৫, লাকসামে ৩৮টির মধ্যে ২৪, মনোহরগঞ্জে ৪৮টির মধ্যে ৮, লালমাইয়ে ১০টির সব, বরুড়ার ১৩৮টির মধ্যে ৭০, চান্দিনায় ৫৩টির মধ্যে সব, দাউদকান্দিতে ৫২টির মধ্যে সব, মেঘনায় ২৪টির মধ্যে সব, তিতাসে ২২ টির মধ্যে ১৫, হোমনায় ৫০টির মধ্যে ২৬, মুরাদনগরে ২৫০টির মধ্যে ৭০, দেবিদ্বারে ২০টির মধ্যে ১২, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭৫টির মধ্যে ১৫ ও বুড়িচংয়ে ৪২টির মধ্যে ৩০টি ঘরের।
নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হওয়া ঘরগুলোই আগামীকাল রোববার গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লায় সমাপ্তকৃত ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।