কুমিল্লায় ৩২০টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন দুর্যোগ সহনীয় বসত ঘর

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কুমিল্লায় ৩২০ টি অসহায় গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার জন্য বসত ঘর তৈরী করে দিয়েছে। চলতি অর্থ বছরে টি আর প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার ১৭ উপজেলার ৩২০ টি বসত বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আদর্শ সদরে ১৮টি, সদর দক্ষিণে ১৪ টি, চান্দিনায় ২৪ টি, লাকসামে ২৪ টি, নাঙ্গলকোট ১৮টি, বরুড়ায় ২৪টি, মনোহরগঞ্জ ২৪ টি, চৌদ্দগ্রামে ১৮টি, লালমাইয়ে ১২টি, বুড়িচংয়ে ১৮টি, ব্রাহ্মনপাড়ায় ১৮টি, দেবীদ্ধারে ১৮টি, দাউদকান্দিতে ১৮টি, তিতাসে ১৮টি, মেঘনায় ১৮ টি, হোমনায় ১৮টি, এবং মুরাদনগরে ১৮ টি। সেমিপাকা প্রতিটি বসত ঘরে থাকছে ২ টি কক্ষ, বারান্দা, ১টি রান্না ঘর ও ১ টি শৌচাগার। প্রতিটি বসত ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। এ সব বসত ঘরের মোট নির্মাণ ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকা।

সুবিধাভোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের থাকার ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘর করে দিয়েছে। তাই আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। খুব সুন্দর করে আমাদের ঘরগুলো করে দিয়েছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্ধ পাওয়া বসত ঘরের উপকারভোগী মুরাদনগর উপজেলার আবদুল কাদের বলেন, পাকা ঘরের আশা বাস্তবে নয় স্বপ্নেও করিনি। সে আশা পূরণ হয়েছে। সরকার পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজার একটি সুন্দর ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে হস্তান্তর করা বসত ঘরের সুবিদাভোগী চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামের বীরঙ্গনা আফিয়া খাতুন বলেন, জীবনে কখনো ভালো ঘরে থাকতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় পাকা ঘর পেয়েছি। এ ঘরে বসবাস করছি। আমার সন্তানরাও ভবিষ্যতে এ ঘরে বাস করবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃজ্ঞতা জানান।

কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরে টি আর ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৭ টি উপজেলায় ৩২০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ৩২০ টি বাস গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮–২০১৯ অর্থ বছরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একই ধরণের ৮৮টি দুর্যোগ সহনীয় বসত ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের কাছে হন্তান্তর করে। প্রত্যেকটি ঘরে নির্মাণ ব্যয় ছিলো ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। এ সকল বসত ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিলো ২ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৭২৮ টাকা। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান