কুমিল্লা নগরীর আবর্জনা থেকে সার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ

কুমিল্লা নগরীর আবর্জনা থেকে সার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এতে কাজ শুরু হলে আবর্জনা ফেলার এলাকার লোকজন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে। কমবে পরিবেশ দূষণ। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ দেশের মোট ১০টি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আবর্জনা পরিশোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যা থেকে সার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। প্রত্যেক সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আবর্জনা ফেলার স্থানের ছয় একর জমির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন তাদের কাগজপত্র জমা দিয়েছে। এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আবর্জনা ফেলা হয় নগরী সংলগ্ন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায়। সেখানে তিন দশক ধরে ময়লা ফেলা হয়। এতে স্থানীয় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবর্জনা পরিশোধন করা হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরী থেকে বিবিরবাজার স্থলবন্দর সড়ক। এ সড়কের দৌলতপুরে সিটি করপোরেশেনের আবর্জনা ফেলা হয়। দিন দিন আবর্জনা আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। একটি ক্রেন দিয়ে আবর্জনা সমান করে রাখছে শ্রমিকরা। নীল আকাশের নিচে আবর্জনার সাদা স্তূপ। তবে তার পাশে আবর্জনার দুর্গন্ধে গ্রামের মানুষের জীবন রোগ-ব্যাধিতে বিবর্ণ। দৌলতপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাসসকে জানান, ৩০ বছর ধরে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে বসবাস করা দায়। দীর্ঘদিন ধরে শুনছি ময়লা পরিশোধন করা হবে। কিন্তু বাস্তবায়ন দেখছি না। ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতপুরের আবর্জনার কারণে মানুষের সঙ্গে এলাকার পশুপাখি, জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানের আবর্জনাগুলো পরিশোধন করার দাবি দীর্ঘদিনের। সেটি করা হলে মানুষ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পরিশোধনের জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যা থেকে সার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। আবর্জনা ফেলার ছয় একর জমির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আমরা কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বাসসকে বলেন, প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, সেটি অনুমোদন হলে আমরা আবর্জনা পরিশোধন করতে পারব। এতে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।