ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর মার্কিন ‘দ্বি-মুখী’ দৃষ্টিভঙ্গির কঠোর নিন্দা উ.কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়া শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্বি-মুখী’ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে এবং পরমাণু সংক্রান্ত আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ার জন্য ওয়াশিংটনের এ ধরনের দ্বৈত মনোভাবকে দায়ী করেছে তারা। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কয়েক দিন পর পিয়ংইয়ং এমন মন্তব্য করলো। খবর এএফপি।

দক্ষিণ কোরিয়া বুধবার সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ যোগ্য একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ডুবোজাহাজ থেকে এটি ছিল তাদের প্রথম এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এর মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ক্ষেত্রে সিউল বিশ্বে সপ্তম দেশের তালিকায় উঠে আসলো। প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এটি পর্যবেক্ষণকরেন। পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়া সাগর অভিমুখে দু’টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এতে আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতাবৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন এবং তারা পিয়ংইয়ংয়ের এমন কর্মকা-কে প্রতিবেশি দেশ গুলোর প্রতি ‘হুমকি’ হিসেবে দেখছে।

পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি পরিবেশিত এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে সিউলের কর্মকান্ডের ব্যাপারে নীরব থেকে ‘দ্বিমুখী মনোভাবের’ পরিচয় দেয়ায় শুক্রবারের ওয়াশিংটনের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করা হয়।

এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়,দক্ষিণ কোরিয়ার পরীক্ষা হচ্ছে সিউলের জন্য একটি কৌশলগত অগ্রগতি। তারা উত্তর কোরিয়ার দেয়া হুমকি মোকাবেলায় তাদের সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করে আসছে। পিয়ংইয়ং তাদের পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।

কেসিএনএ’র মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এমন ‘দ্বি-মুখী’ কর্মকা-ের কারণেই কোরীয় উপদ্বীপ সংক্রান্ত সংকট সমাধানের পথ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান