খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারের প্রতিহিংসার প্রশ্নই ওঠে না: আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারের প্রতিহিংসার প্রশ্নই ওঠে না। তার জামিনের বিষয়টিও সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার।

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করার কারণে প্রথমে বিচারিক আদালতে এবং পরে উচ্চ আদালতে দন্ডিত হয়েছেন। আবার জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাত করার জন্যও তিনি দন্ডিত হয়েছেন। তার জামিনের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোন প্রশ্নই ওঠেনা।”

আইনমন্ত্রী আজ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জিপি (সরকারি কৌঁসুলী) এবং পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) জন্য আয়োজিত ২১তম বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। আনিসুল হক বলেন, “বিএনপি আমলে আদালতকে যেভাবে নিজেদের পকেটে রাখা হতো সেই অবস্থা এখন আর নেই। বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন।”

জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের বিষয়টি উত্থাপন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে একজন যুগ্ম জেলা জজ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনটি সংশোধন হলে যুগ্ম জেলা জজের পাশাপাশি সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজরাও এই মামলা গুলোর বিচার করতে পারবেন। এতে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে।

এর আগে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জিপি-পিপিগণকে সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্ব অবস্থায় আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন, মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে অবশ্যই আদালতের সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজিরসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ঢিলেঢালা বা গড়িমসি মনোভাব কাম্য নয়।

মামলার জট কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কতিপয় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেওয়ানী কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে। জিপি- পিপিদেরকে এ আইনের বিধানগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণসহ আইনজীবীগণকে এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হিসেবে দেওয়ানী ও ফৌজদারি সকল বিষয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জিপি-পিপিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান