খাসোগি হত্যাকান্ডের পর প্রথমবারের মতো তুরস্ক সফরে সৌদি যুবরাজ

সৌদি যুবরাজ বুধবার তুরস্ক সফর করছেন। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো তুরস্ক সফর করছেন।
বিশ্লেষকেরা সৌদি যুবরাজের এ সফরকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতা কাটানোর আরো একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
এদিকে তুরস্কে যুবরাজ সালমান ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের একমাস পরই রিয়াদ সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার কারনে সৃষ্ট জ্বালানি সংকটের ওপর আলোকপাত করবেন বলে জানা গেছে।
খাসোগির নৃশংস হত্যাকান্ডের পর এরদোগানের ইসলামপন্থী সরকার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো শুরু করলে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন সালমান।
খাসোগি হত্যাকান্ডের পেছনে সালমানের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ আরো দৃঢ়তা লাভ করে যখন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, হত্যাকান্ডের পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন সালমান।
যদিও রিয়াদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বর্তমানে রিয়াদ আরব বসন্ত বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে আদর্শগতভাবে বিরোধিতাকারী দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা লাভের চেষ্টা করছে।
একইসঙ্গে তুরস্কও এরদোগানের শাসনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যাশা করছে। কারন দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের আর একবছর বাকী রয়েছে।
তুরস্কের একজন কর্মকর্তা বলেন, উভয়পক্ষ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় সমর্থন এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে সহযোগিতার বিষয় রয়েছে।
বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন, এ অঞ্চলে ধীরে ধীরে যে শান্তি ফিরে আসছে তা প্রত্যক্ষ করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এতে তার সায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট এর পরিচালক গনুল তোল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে নেয়া এসব পদক্ষেপের কারণে এ অঞ্চলে উত্তেজনা কমছে এবং কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হচ্ছে।
তবে তিনি প্রশ্ন করেন যুবরাজ সালমান এরদোগানকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে প্রস্তুত কিনা।
তিনি বলেন, খাসোগি হত্যার পর তুরস্কের ভূমিকার কথা এতো সহজে ভুলবেন না যুবরাজ।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করিনা এতো অল্প সময়ে তুরস্কের অর্থনীতির নাটকীয় কোন অগ্রগতি হবে।