ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘আম্ফানের সময় ১৪ হাজারের বেশি শেল্টার সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ২৪ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিতে পেরেছিলাম, আমাদের সেই ক্যাপাসিটিও আছে। আশা করি এটিও মোকাবিলা করতে পারব ।’
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেম ডেভেলপ করেছে। যেটা ৯ মের মধ্যে হয়তো লঘুচাপে রূপান্তরিত হবে, যেটাকে আমরা ‘লো প্রেসার’ বলি। এরপর ধীরে ধীরে এটা সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লো প্রেসারের রূপ ধারণ করতে পারে।
এরপর ১১ মের দিকে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হওয়ার সম্ভাবনা। যদি ঘূর্ণিঝড় হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে অশনি। এটার ল্যান্ডফলটা এখন পর্যন্ত ক্যালকুলেশন হয়নি। নিম্নচাপ ও ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির পর বিস্তারিত জানা যাবে ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণিঝড় প্রবণ দেশ, আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, ঝড়ে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার জন্য আমরা আজকে প্রাথমিক সভা ডেকেছি। এখানে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনা করেছি। কবে লঘুচাপ, কবে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটা স্টেপে আমাদের প্রস্তুতি কি? কাদের সংযুক্ত করব? কাদের দায়িত্ব দেবো? কোথায় কীভাবে নির্দেশনা দেবো সেগুলোর আজ ঠিক করেছি। পরবর্তীতে যদি সতর্ক সংকেত দেয়া হয় তাহলে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে নির্দেশনাগুলো মাঠ পর্যায়ে দিয়ে দেবো।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে কি না এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সিপিপি ভলান্টিয়ারদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করছে, আমাদের যে এসওডি আছে সে অনুযায়ী কখন কী করতে হবে জানিয়ে দিয়েছি। সবাই আমরা এখন অ্যালার্ট। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ মন্ত্রণালয় এবং পিপিপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।