চট্টগ্রামের নতুন ৪ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে কোন করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলার জন্য অনুমোদিত ১৪ করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টিতে গতকাল শুক্রবার ১ হাজার ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৪ জনের মধ্যে শহরের ২ এবং দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২ হাজার ২৬০ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৯৯০ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৭০ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে ৩৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবারই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৯৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৩৭ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এগুলোর একটিরও রেজাল্ট পজিটিভ আসেনি।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনায় শহরের একজনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটি আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলে।
চট্টগ্রামের একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় এটির রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। এদিন এন্টিজেন টেস্ট এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষনে চমেকে ১ দশমিক ১৭, সিভাসু’তে ৬ দশমিক ৬৬, চবি’তে ৫ দশমিক ২৬ এবং শেভরনে ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।