চট্টগ্রামে একদিনে ১২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ সময়ে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটেনি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ১২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১১ জন ও হাটহাজারী উপজেলার ১ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৩৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯২ হাজার ১৯৬ জন শহরের ও ৩৪ হাজার ৫৪৩ জন গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোনো জীবাণুবাহক পাওয়া যায়নি।
সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৮ জনের নমুনায় শহরের একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৩২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে হাটহাজারী উপজেলার একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৩ জনের নমুনায় ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একটিতে ভাইরাস মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০ জনের নমুনায় শহরের একজন পজিটিভ হন।
এছাড়া, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১২ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১টি নমুনার টেস্টে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৩ জনের এন্টিজেন টেস্টেও কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড, ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়নি।