চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নতুন ১৫ জন আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন ১৫  জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের  প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল নগরীর দশ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ১৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন ১৫ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের ৮ ও তিন উপজেলার ৭ জন। উপজেলার ৭ জনের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৫ জন এবং রাউজান ও লোহাগাড়ায় একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮২ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৭২৫ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৫৭ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ নমুনায় শহরের ২টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১৪ নমুনায় শহরের একটির রিপোর্ট পজিটিভ হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনও আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেনি।
বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় মিরসরাইয়ের ৫ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ নমুনার একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে জীবাণু পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবরেটরিতে ৮ জনের নমুনায় শহরের ২ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া, শেভরনে ২৬, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২০ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। চার ল্যাবে ৭৭ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকহা’য় ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, আরটিআরএল-এ ৭ দশমিক ১৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১ দশমিক ৭৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ৭ দশমিক ৬৯, এপিক হেলথ কেয়ারে  ২১ দশমিক ০৫ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২৫ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্ট, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।