চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে ৮ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর পাঁচ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫ জন ও তিন উপজেলার ৩ জন। উপজেলার ৩ জনের মধ্যে মিরসরাই, সীতাকুন্ড ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬০৩ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৭৩৯ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৬৪ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৪ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের ২ জন করে পজিটিভ শনাক্ত হন।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন ভাইরাসবাহক পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৮ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে জীবাণু পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। এছাড়া, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৪ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকহা’য় ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪ দশমিক ১৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০ ও এন্টিজেন টেস্টে ২০ শতাংশ এবং এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।