চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন

চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য টানা দ্বিতীয়দিনে সংক্রমণ হার করোনকালের চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। গতকাল নতুন ৫৪ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হলে এ হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর আগের সর্বনিম্ন হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল গত ৪ সেপ্টেম্বর।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সাতটি ল্যাবে ৯৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নতুন ৫৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। এতে শহরের বাসিন্দা ৩৬ জন ও গ্রামের ১৮ জন। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৭ হাজার ৬৪৪ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, এদিন সবচেয়ে বেশি ৩০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ১৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৪৫ জনের নমুনার মধ্যে ৯ জন করোনার ভাইরাসবাহক বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব ১০৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪টিতে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এছাড়াও নগরীর বেসরকারি দু’টি পরীক্ষাগার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮ জন ও শেভরনে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ৫ জন ও ৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪৬টি নমুনা পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় সংক্রমণ হার বেশ কিছুদিন যাবত জাতীয় হারের চেয়ে অনেক কম। এ নিয়ে একটানা পাঁচদিন সংক্রমণ হার সিঙ্গেল ডিজিটে থাকলো। গতকাল মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন নির্ণিত হয়েছে। এছাড়া, পরপর দু’দিন মৃত্যুশূন্য দিন পার করছে চট্টগ্রাম।

জেলায় গত সোমবার ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, রোববার ৭ দশমিক শূন্য ৭, শনিবার ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ও শুক্রবার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ হার ছিল ১২.৬৩ শতাংশ। এদিন, সারাদেশে ১৪,৯৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১,৮৯২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। ত‌থ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান