চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে ১০ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় আরো ১০ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। এ সময়ে নতুন ৫৮৯ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও নয়টি ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৫৮৯ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৩৬ জন এবং তেরো উপজেলার ২৫৩ জন।

উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বোয়ালখালীতে ৭৮ জন, হাটহাজারীতে ৪১ জন, রাউজানে ৪০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৩ জন, বাঁশখালী ও ফটিকছড়িতে ১৪ জন করে, সীতাকু-ে ১২ জন, পটিয়ায় ১০ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন, আনোয়ারায় ৬ জন, চন্দনাইশে ৪ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন এবং সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯৩ হাজার ২৩৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৬৭৪ জন শহরের এবং ২৪ হাজার ৫৯৪ জন গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল করোনায় শহরের ২ জন ও গ্রামের ৮ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ১০৩ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৪০ জন ও গ্রামের ৪৬৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫১৬ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৭৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ৬০৫ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫১ হাজার ১৭৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪৭১ জন এবং ছাড়পত্র গ্রহণ করেন ৩৮৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ৪৫০ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে।  এখানে ৯০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫৩ ও গ্রামের ২৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪২৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭৩ ও গ্রামের ৫৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪৫ ও গ্রামের ৫৯ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪০ জনের নমুনায় শহরের ১৮ ও গ্রামের ৬৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৩৬০ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৪২ ও গ্রামের ৩০ জন ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৩ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮ টি ও গ্রামের ৩ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।

নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৩৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিসহ ১৯ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২০ টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৪১ টি, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১২ টি নমুনা পরীক্ষায় করে গ্রামের ৫ টিসহ ৩৫ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ২৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৯ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৫২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, চমেকে ৩০ দশমিক ১৯, চবিতে ৩৬ দশমিক ৮৮, সিভাসুতে ৩৪ দশমিক ৫৮, এন্টিজেন টেস্টে ২০ শতাংশ, আরটিআরএলে ৪৭ দশমিক ৮২, শেভরনে ৫ দশমিক ৬৪, ইম্পেরিয়ালে ৩৪ দশমিক ১৬, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩১ দশমিক ২৫, মেডিকেল সেন্টারে ৩৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান