চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমেছে

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৪৫ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ সময়ে আরোগ্য লাভ করেন ৫২৮ জন এবং মৃত্যু হয় ৫ জনের।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটআইডি, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও নগরীর আটটি ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১৪৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৬ জন এবং নয় উপজেলার ৩৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ২৪ জন, সন্দ্বীপে ৪ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাউজান, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৯ হাজার ৪৮৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২ হাজার ৩৩৪ জন ও গ্রামের ২৭ হাজার ১৫২ জন।
করোনায় গতকাল শহরের একজন ও গ্রামের চার জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২৩২ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৮৯ জন ও গ্রামের ৫৪৩ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন নতুন ৫২৮ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৯৯২ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৮২২ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬২ হাজার ১৭০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২১৭ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৪০৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ২৪৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৬ জন ও গ্রামের ৮ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৭৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৫ ও গ্রামের ২৪ টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১২০ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৭৭ জনের এন্টিজেন টেস্টে ৪ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। এরা সকলেই শহরের বাসিন্দা। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪ টি নমুনায় শহরের একটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ ও গ্রামের একটিতে, মেডিকেল সেন্টারে ২৫ টি নমুনায় শহরের ৩ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৮৪ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ১৪ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ, সিভাসু’তে ২২ দশমিক ৫৪, চমেকে ১০ দশমিক ৮৩, এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ১৯, আরটিআরএলে ২৫ শতাংশ, শেভরনে ১ দশমিক ৫৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯ দশমিক ২৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ২১, মেডিকেল সেন্টারে ১২, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ দশমিক ৬৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়।