চট্টগ্রামে করোনায় আরও ৪০ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত নতুন কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবরেটরি এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ২৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩২ জন ও সাত উপজেলার ৮ জন রয়েছেন। উপজেলার ৮ জনের মধ্যে রাউজানে ২ জন এবং ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সীতাকু-, মিরসরাই ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৫৯ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৫৬৮ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৭৯১ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৪ ও গ্রামের ১ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৬ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২ টি নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪৬ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৪ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৪ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ৫৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৬ ও গ্রামের ২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে, ল্যাব এইড, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৫২, শেভরনে ৭ দশমিক ১৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০ দশমিক ৪৮, আরটিআরএল ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১ দশমিক ৭৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৪ দশমিক ২৮, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ দশমিক ০৯ ও এন্টিজেন টেস্টে ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।