চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ বেশি

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেশি। এ সময়ে নতুন ৮০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত একজন মারা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর ছয়টি ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ৬৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্তহয়েছে ৮০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৭ জন এবং সাত উপজেলার ১৩ জন। উপজেলা পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩ জন, রাউজান, সীতাকু-, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং হাটহাজারী ও সাতকানিয়ায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫২ হাজার ৫২৪ জন। এর মধ্যে শহরের ৪১ হাজার ৯৭৪ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৫৫০ জন।
পরীক্ষার এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৯৪ জন হয়েছে, যাতে শহরের ৪৩৩ জন ও গ্রামের ১৬১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ১৩৬ জন। ফলে এ সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ৮৯০ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে সুস্থতার পর ছাড়পত্র পান ৩৩ হাজার ৩৬১ জন। হোম আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩৩ জন, ছাড়পত্র পান ৫৫ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৩৮৬ জন হোম আইসোলেশনে আছেন।
উল্লেখ্য, গতকালের একজনসহ চলতি মে মাসের ২২ দিনে চট্টগ্রামে ৭০ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। মৃত্যুশূন্য ছিল একদিন ২১ মে। একজন করে মারা যান চারদিন। গত এপ্রিল মাসে সর্বশেষ ২৬ তারিখসহ তিনদিন মৃত্যুশূন্য ছিল। তবে সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ২১৮ জনের নমুনায় শহরের ১৬ জন ও গ্রামের ৭ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনসহ ২৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৬০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ১৬ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হয়।
নগরীর বেসরকারি ল্যাব শেভরনে ২০৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ ও গ্রামের ৪ টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৫ টিতে জীবাণুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কারো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টার ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার ছিল বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, চমেকে ২০ দশমিক ৯৭, আরটিআরএলে ২৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ৩ দশশিক ৪৫, মেডিকেল সেন্টারে ১৮ দশমিক ৭৫ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।