চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্ত নেই

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন কোনো আক্রান্ত নেই। এ সময় কোনো রোগিরও মৃত্যু হয়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।
২০২০ সালের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর মৃত্যুশূন্য বহুদিন পার হলেও শহর এবং গ্রামে এ প্রথম করোনায় আক্রান্তবিহীন দিন কাটলো।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয় ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ দিন নতুন কোনো বাহক শনাক্ত না হওয়ায় জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ জনই রয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৫০ শহরের ও ২৮ হাজার ৩শ’ জন গ্রামের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যাও যা ছিল তা-ই রয়েছে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৪০, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৭ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
তবে চট্টগ্রামের করোনা আক্রান্ত নির্ণয়ের জন্য নির্ধারিত ১৩ ল্যাবরেটরির ছয়টিতে এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। ল্যাবগুলো হচ্ছে : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চট্টগ্রামে ১৯ মাস ১৪ দিন পর প্রথম আক্রান্তবিহীন দিন পার হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজ সকালে বাসস’কে জানান, ‘জেলায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃত্যু না থাকা শুভ সংবাদ। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কিছু নেই। বরং আরো বেশি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, টিকা নিয়ে, মাস্ক পরিধান করে এবং বেশি জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা ২/৩ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত মন্তব্য করতে পারবো।’
সিভিল সার্জন আরো জানান, ‘গতকাল চট্টগ্রামসহ ৩৪টি জেলায় নতুন আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। তবে করোনার পরীক্ষার জন্য অধিকাংশ লোকই নমুনা দিতে ল্যাবে আসেন না। মোটামুটি ২০/২৫ শতাংশ লোক পরীক্ষা করিয়ে থাকেন। ফলে অধিক জনগোষ্ঠীর অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত হতে পারি না। এদের মধ্যে নিরব অথবা হালকা উপসর্গের আক্রান্ত থাকলে তাদের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণেই আমরা বারবার স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা নেয়ার ব্যাপারে সাধারণের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছি।’