চট্টগ্রামে করোনায় নতুন ১৮২ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৮২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবরেটরিতে গতকাল ২ হাজার ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১৮২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৯ জন ও ১৪ উপজেলার ১০৯ জন। উপজেলার ১০৯ জনের মধ্যে রাউজান ও ফটিকছড়িতে ১৩ জন করে, বোয়ালখালীতে ১২ জন, হাটহাজারী ও লোহাগাড়ায় ১১ জন করে, সীতাকু-, মিরসরাই ও আনোয়ারায় ৯ জন করে, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৫ জন করে, বাঁশখালীতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে ৩ জন করে এবং সন্দ্বীপে ২ জন রয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো নতুন রোগি শনাক্ত হয়নি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯০ হাজার ৮৬৯ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ১৩২ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬০ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৮ ও গ্রামের ৫১ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৬০ জনের নমুনায় শহরের ১৩ ও গ্রামের ৯ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৯৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের ৫ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে পরীক্ষিত ১০৪ টি নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ৯ টি আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৯ ও গ্রামের ১৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪০ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭ ও গ্রামের ১০ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬১ নমুনার মধ্যে শহরের ৯ টিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৫৪ জনের নমুনায় শহরের ৬ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ৯ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৮ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিন, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে একটি এন্টিজেন টেস্টও হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ৫৯, চমেকহা’য় ১৩ দশমিক ৭৫, চবি’তে ৭ দশমিক ২১, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৫০, শেভরনে ৫ দশমিক ৩৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫ শতাংশ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩ দশমিক ৪৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২ দশমিক ৩৬, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৬ দশমিক ৩৮ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।