চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে আবারো একদিনে দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।তবে ছয়দিন পর এ দিনে শনাক্তের সংখ্যা একশ’র নিচে নেমেছে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে মোট ১ হাজার ৫৫১ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন সংক্রমিত পাওয়া যায় ৯৪ জন। এর মধ্যে মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৮ জন এবং ছয় উপজেলার ৬ জন। উপজেলায় শনাক্তদের মধ্যে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, বোয়ালখালী, পটিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে শহরের ২৮ হাজার ৬৯৯ এবং গ্রামের ৭ হাজার ৭০৪ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সর্বশেষ একদিনে ২ জনের মৃত্যু হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। একটানা ২৬ দিন পর এদিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শতক ছাড়িয়ে ১১৩ জন হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারিও ২ জন রোগীর মৃত্যু হয়। তবে সেদিন শনাক্ত রোগী ছিল ২৯ জন। এর আগে দু’জনের মৃত্যু হয় ১৩ জানুয়ারি। ৯ জানুয়ারিও দুই জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল সংক্রমিতের সংখ্যা একশ’র নিচে নামলেও এ মাসের ১৩ দিনের আট দিন শনাক্ত রোগী একশ’ ছাড়িয়েছে। এছাড়া, একজন করে ৪ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। একশ’র বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১ মার্চ ১০৯ জন, ৪ মার্চ ১০৭ জন, ৭ মার্চ ১১৪ জন, ৮ মার্চ ১২২ জন, ৯ মার্চ ১২৭ জন, ১০ মার্চ ১৩২ জন, ১১ ও ১২ মার্চ ১৩১ জন করে। চলতি মাসের সবচেয়ে কম সংক্রমণ ছিল ৬ মার্চ ৬৩ জন। অথচ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ও শেষদিন ছাড়া বাকী ২৬ দিন আক্রান্তের সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও ফেব্রুয়ারিতেই। ৬ ফেব্রুয়ারি ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। সংখ্যা ও হারে এটাই চট্টগ্রামে সর্বনি¤েœর রেকর্ড। জানুয়ারি মাসেও ২০ দিন শনাক্ত রোগী একশ’র নিচে ছিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল শনিবার সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৭৫৯ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৯ টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১ জনসহ ৩৯ জনের দেহে সংক্রমণ সনাক্ত হয়। জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১৮ টি নমুনা পরীক্ষা হলে ৮ টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। এ ৮ জনই শহরের বাসিন্দার।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির দু’টিতে গতকাল নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শেভরনে ২৪২ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে যথাক্রমে ২৫ ও ১৩ টির বাহক করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। শেভরনে শনাক্তদের মাঝে ৪ জন গ্রামের এবং মা ও শিশুতে ১ জন গ্রামের রয়েছেন। চট্টগ্রামের ১৬ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে কারো শরীরেই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ, চমেকে ৭ দশমিক ৮৫, আরটিআরএলে ৪৪ দশমিক ৪৪, শেভরনে ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬৮ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ।