চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬৮

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ সময় করোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন ১২৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর নয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৬৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ১১৬ ও বারো উপজেলার ৫২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৯, ফটিকছড়িতে ৮, সীতাকু- ও বাঁশখালীতে ৬ জন করে, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও বোয়ালখালীতে ৪ জন করে, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় ২ জন করে এবং সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫২ হাজার ১৯১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ হাজার ৭২৬ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৪৬৫ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়। একজন শহরের ও একজন গ্রামের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৯০ জন। এতে শহরের ৪৩২ জন ও গ্রামের ১৫৮ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১২৮ জন। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৪৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৪৫১ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৩ হাজার ২৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩২ জন, ছাড়পত্র নেন ৪২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৩২ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ২ জনসহ চলতি মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে চট্টগ্রামে ৬৬ করোনা রোগির মৃত্যু হলো। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। একজন করে মারা যান চারদিন। পর পর দু’দিন আক্রান্তের তুলনায় আরোগ্যলাভকারী রোগির সংখ্যা বেশি থাকলেও গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৬ জনসহ ২৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩১ ও গ্রামের ২০টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৯ জনের নমুনায় গ্রামের ৯ জনসহ ২৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জনসহ ১১ জনের মধ্যে ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ১ জনসহ ৭ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি চার ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৩ ও গ্রামের ৭টিতে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ১২টিতে, মা ও শিশু হাসপাতালে ২১টি নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৭টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৫টিতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে।
এদিন চট্টগ্রামের ২৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ, চবিতে ২৬ দশমিক ৯৮, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৬১, চমেকে ২১ দশমিক ১৫, আরটিআরএলে ২৫ দশমিক ৯২, শেভরনে ৮ দশমিক ২৬, ইম্পেরিয়ালে ২৩ দশমিক ০৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৯ দশমিক ৫১, মেডিকেল সেন্টারে ২৯ দশমিক ৪১ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।