চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১১৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর নয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৮২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ১১৯ জনের মধ্যে মধ্যে শহরের ৭৮ও দশ উপজেলার ৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৬,বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ৫ জন, মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে ৪, বাঁশখালীতে ৩, এবং লোহাগাড়া, পটিয়া, রাউজান ও সীতাকু-ে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫১ হাজার ৬৪৩ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪২ হাজার ৫২ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৫৯১ জন।
গতকাল শহরের একজন ও গ্রামের ৩ করোনা রোগির মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৯৮ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৩৪ জন ও গ্রামের ১৬৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৭৭ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯৬৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৫৫২ জন এবং বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৩ হাজার ৪১৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০ জন, ছাড়পত্র নেন ৪০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৯১ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের চার জনসহ চলতি মে মাসের ২৩ দিনে চট্টগ্রামে ৭৪ করোনা রোগির মৃত্যু হয়। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৮ জন মারা যান ৮ মে। একজন করে মারা যান চারদিন। গত এপ্রিল মাসে তিন দিন মৃত্যুশূন্য ছিল। পুরো মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। তবে গতকাল আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা আক্রান্তেরচেয়ে বেশি। বিগত কয়েক দিন এর উল্টো চিত্র ছিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। এখানে ২২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ জন ও গ্রামের ১৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ২২ ও গ্রামের ৯টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একজনসহ ৪ জনের মধ্যে জীবাণুর অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৬ জনের নমুনায় শহরের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৭ ও গ্রামের ৭টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর চার বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২টিসহ ২০টি, শেভরনে ৯৪টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ৭টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০টি নমুনায় শহরের ৫টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ২৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি ছাড়া সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চবিতে ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৫ দশমিক ৭৩, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, চমেকে ১৩ দশমিক ৮৮, আরটিআরএলে ৪২ দশমিক ৪২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬ দশমিক ২৬, শেভরনে ৭ দশমিক ৪৪, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং মেডিকেল সেন্টারে ২৫ শতাংশ করে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।