চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত একশ’র নিচে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস বাহকের সংখ্যা দু’দিন পর একশ’র নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮৫ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, মঙ্গলবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৮৫ জন জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৭ জন এবং সাত উপজেলার ১৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ১১ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং সীতাকু-, মিরসরাই, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৫ হাজার ১৯৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ হাজার ৬৩৪ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৫৫৯ জন।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৭৫ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের ২৭৪ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার সনদ দেয়া হয় ৬০ জনকে। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২ হাজার ৩১০ জনে। এদের ৪ হাজার ৪৪০ জন হাসপাতালে ও ২৭ হাজার ৮৭০ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সু¯্য’ হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ১৬ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে ৯৫৮ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে পর পর দু’দিন শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা শতক ছাড়িয়ে যায়। ১ মার্চ ১ হাজার ৮২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০৯ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি এ সময়ে। এদিন চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার অতিক্রম করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৪০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১১৩ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ০২ শতাংশ। এদিন মৃত্যু হয় ২ করোনা রোগীর। এর আগে একটানা ২৬ দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একশ’র নিচে ছিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ২টিসহ ১৩টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৩ জনসহ ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ৫৯টি নমুনার ১১টিতে করোনার জীবাণু মিলে। এরা সবাই নগরীর বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনায় গ্রামের ১০ জনসহ ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২ টিতে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরা দু’জনই নগরীর বাসিন্দা।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ জনসহ ১১ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৯ জনের নমুনায় শহরের ১৩ জন এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ১ জনসহ ৫ জন করোনা শনাক্ত হন। এদিন চট্টগ্রামের ৭৫টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক শূন্য ৭০, সিভাসু’তে ১৮ দশমিক ৬৪, চবিতে ২৬ দশমিক ৫৩, আরটিআরএলে ৩৩ দশক ৩৩, শেভরনে ৪ দশমিক ৯৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৫৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১ দশমিক ২৫ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।