চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কেউ মারা যায়নি, নতুন আক্রান্ত ৭ জন

চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসে নতুন ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ সময়ে কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪ জন ও দুই উপজেলার ৩ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯৯৪ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৭৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ২ জন ও ফটিকছড়িতে ১ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ১ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। এন্টিজেন টেস্টের একমাত্র নমুনাটির রেজাল্ট পজিটিভ বলে জানানো হয়। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৪১৩ টি নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের একটি আক্রান্ত পাওয়া যায়।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১২, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬০, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৯ এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত সব নমুনার নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ল্যাব এইড ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম থেকে করোনার কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৬৭, চবি’তে ৫ দশমিক ২৬, এন্টিজেন টেস্টে শতভাগ ও শেভরনে ০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং চমেকহা, আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও এপিক হেলথ কেয়ারে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।